1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লিংক রোডের পাশে সওজ’র ট্রাক-স্ট্যান্ড নিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভ সোনারগাঁয়ে পুলিশের অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ নারী আটক ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল পরিদর্শনে ডিসি গৃহবধূর মরদেহ রাস্তায় ফেলে পালানোর সময় স্বামী-শাশুড়ি আটক বিকেএমইএ নির্বাচনে হাতেম প্যানেলে সেলিম ওসমান পর্ষদের ২০ জন জ্বলন্ত ট্রাক ৫ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক, পুড়লো মাইক্রোবাসও দেওভোগে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান-জরিমানা আড়াইহাজারে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কৃষকলীগের ঝটিকা মিছিল না’গঞ্জ সদর থানা মৎস্যজীবী দলের নবনির্বাচিত সদস্য সচিবকে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র ফুলেল শুভেচছা বিকেএমইএ নির্বাচন: ৩৫ পদের বিপরীতে লড়বেন ৩৮ জন

বিকেএমইএ নির্বাচনে হাতেম প্যানেলে সেলিম ওসমান পর্ষদের ২০ জন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নিট পোশাকশিল্পের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১০ মে। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ জন। সংগঠনটির পরিচালক পদের ৩৫টির বিপরীতে লড়বেন তারা।

প্রার্থী তালিকাও ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে সংগঠনটির নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের নেতৃত্বে ৩৫ জনের যে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে, তারমধ্যে ২০ জন আছেন যারা গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেতৃত্বে এসেছিলেন। ওই প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেবল গত নির্বাচনে প্যানেলভুক্ত হওয়া নয় হাতেমের ঘোষিত প্যানেলের অধিকাংশ নেতা ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠজন এবং সাবেক সভাপতি সেলিম ওসমানের আস্থাভাজন। এমনকি মোহাম্মদ হাতেম নিজেও বিগত নির্বাচনগুলোতে সেলিম ওসমানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে অংশ নিয়েছিলেন। ফলে গণঅভ্যুত্থানে সরকার বদল ও রাজনীতির হাওয়া বদলালেও বিকেএমইএ’র নেতৃত্বে এখনও ওসমান পরিবারের নিয়ন্ত্রণ রয়ে গেছে বলে মনে করছেন তারা।

বিকেএমইএ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে প্রথম সভাপতি হন একেএম সেলিম ওসমান। পরের নির্বাচনেও তিনি সভাপতি হন। এরপর ২০১৪ সালে বড়ভাই নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ সালের পর আর কোনো ভোটগ্রহণ হয়নি। প্রতিবারই একক প্যানেল ঘোষণা করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি হয়েছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, সেলিম ওসমান ‘ইলেকশন নয়, সিলেকশনে’ বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি নির্বাচনের চেয়ে টেবিলে বসে সমঝোতা আলাপে গুরুত্ব দিতেন বেশি। তিনি তার ঢাকার বাসায় ব্যবসায়ী নেতাদের ডেকে নতুন পর্ষদে কারা আসবেন এবং কারা নেতৃত্বের বাইরে থাকবেন, তা নির্ধারণ করে দিতেন। ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন ছিলেন মোহাম্মদ হাতেম। পাঁচ মেয়াদে বিকেএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদে সহসভাপতি ও নির্বাহী সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন হাতেম। যে পর্ষদের টানা সভাপতি ছিলেন সেলিম ওসমান।

প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় পর বিকেএমইএ’র নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। যদিও একক প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন মাত্র তিনজন। ৩৫ জনের প্যানেলটির আবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদ হাতেম, যার বিরুদ্ধে ওসমান-ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটির আসন্ন নির্বাচনেও রয়ে গেছে সাবেক সভাপতি ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার ‘ওসমান পরিবারের’ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের প্রভাব। হাতেম-ঘোষিত প্যানেলের মুখগুলো তারই প্রমাণ।

সেলিম ওসমানের পর্ষদের যে ২০ জন এবারও নির্বাচন করছেন
সংগঠনটির ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গঠিত সেলিম ওসমানের পর্ষদে যে বিশজন এবার হাতেমের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা হলেন, নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মনসুর আহমেদ এবং সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান, অমল পোদ্দার, গাওহার সিরাজ জামিল, মোরশেদ সারোয়ার সোহেল ও মোহাম্মদ রাশেদ, পরিচালক মো. শামসুজ্জামান, আশিকুর রহমান, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, রতন কুমার সাহা, নন্দ দুলাল সাহা, আহমেদ নূর ফয়সাল, আব্দুল হান্নান, ইমরান কাদের তুর্য, ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ, মোহাম্মদ শামসুল আজম, মোহাম্মদ জাকারিয়া ওয়াহিদ, মে মিনহাজুল হক, ফওজুল ইমরান খান।

এ প্যানেলে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন, আহসান খান চৌধুরী, মো. শাহরিয়ার সাইদ, রাজীব চৌধুরী, মো. মহসিন রাব্বানি, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মো. মনিরুজ্জামান, এম. ইসফাক আহসান, মো. মামুনুর রশিদ, রাকিব সোবহান মিয়া, আব্দুল বারেক, মো. ইয়াসিন, জামাল উদ্দিন মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন রিপন, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সেলিম। এদের মধ্যে শেষ চারজন সরকার পরিবর্তনের পর বিকেএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হয়েছিলেন। তারাও এ নির্বাচনে হাতেম প্যানেলের সদস্য।

গত আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান সেলিম ওসমান। বিকেএমইএ’তে পদত্যাগপত্রে তিনি নির্বাহী সভাপতির পদে থাকা মোহাম্মদ হাতেমকে সভাপতি করার পরামর্শও দেন।

বিকেএমইএ’র কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, ওসমান পরিবারের প্রভাব এখনও যে সংগঠনটিতে আছে তা ‘ওপেন সিক্রেট’। কয়েকজন ব্যবসায়ী এ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে গণমাধ্যমে কথাও বলেছেন। আস্থাভাজন হিসেবে পদত্যাগের পর একই চিঠিতে হাতেমকে সভাপতি করার কথাটি উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া, বিকেএমইএ’র বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের বিরুদ্ধে রয়েছে ‘জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা ও আওয়ামী লীগ সরকারঘেঁষা অবস্থানের’ অভিযোগ। হাতেম এখনও ‘ওসমান পরিবারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন’ বলেও অভিযোগ একাধিক ব্যবসায়ীর। যদিও এসব ছাপিয়ে তিনি বিগত ৯ মাস ধরে বিকেএমইএ’র নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং এবারও প্যানেলসহ প্রার্থী হয়েছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট